নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাউজানে গৃহবধূ রোকসানাকে নৃশংসভাবে খুন করার মামলার এজাহারনামীয় অন্যতম প্রধান দুই আসামী সোহেল ও জহিরকে রাঙ্গুনিয়া হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
রবিবার (১ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৭টার দিকে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন রানীরহাট বাজার এলাকা থেকে ঘাতক দুই আসামি ধরলেন র্যাব।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, নিহত ভিকটিম রোকসানা আক্তার (২৮) স্বামী ও ৩ সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামের রাউজানে বসবাস করত। দীর্ঘদিন যাবৎ রোকসানাকে তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন টাকার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। গত ২৭ নভেম্বর রোকসানার মা-বাবা জানতে পারেন যে, তার মেয়ে তার স্বামীর বাড়ি হতে নিখোঁজ রয়েছে। পরবর্তীতে গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে রাউজান থানা পুলিশ রোকসানার স্বামীর বসত ঘর সংলগ্ন বাউন্ডারী দেয়ালের ড্রেন হতে রোকসানার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয় নিহত রোখসানাকে তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা হত্যা করেছে। পরবর্তীতে রোকসানার স্বামী আজম তাকে হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গ্রেফতারকৃত সোহেল মূল খুনি যে রোখসানাকে গলা টিপে হত্যা করে এবং গ্রেফতারকৃত জহির এবং আজম রোকসানার মৃতদেহটিকে ড্রেনে নিয়ে লুকিয়ে রেখেছিল।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় ৬ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতমনামা আরও ২/৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ০২/২৪১, তারিখ-২ ডিসেম্বর ২০২২খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/২০১/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
বর্ণিত মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ০১ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ০৩নং আসামী মোঃ সোহেল (৩০), পিতা-মৃত. লাল মিয়া, সাং-কদলপুর, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম’কে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন রানীরহাট বাজার এলাকা হতে এবং ২১০০ ঘটিকায় ০৪ নং আসামী মোঃ জহির(৩০), পিতা-ছগির আহম্মদ, সাং-গচ্ছি, থানা-রাউজান, জেলা-চট্টগ্রাম’কে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন ইমামনগর এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা বর্ণিত মামলার ঘটনায় জড়িত এজাহার নামীয় পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।