নিজস্ব প্রতিবেদক:
হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির এলাহী বক্স চৌধুরীর চতুর্থ সন্তান ও নাজিরহাটের শিবিরের ক্যাডার পরিচিত নাছির উদ্দীনের ছোট ভাই মহিউদ্দিন (৪৫) আটক করেছে র্যাব ৭।
শনিবার (২২ জানুয়ারী) সকালে তাকে র্যাব আটক করে।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাজীব শর্মা হাটহাজারী নিউজ কে বলেন, যাবতজীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী মহিউদ্দিন কে আটক করা হয়।
[caption id="attachment_883" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
উল্লেখ্য,
১৯ বছর আগে চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া রায়ে অর্থদণ্ড যুক্ত করা হয়েছে।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
গত ৬ অক্টোবর বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এই মামলায় দেয়া রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। তবে আজ আদালত ওই দিনের রায় সংশোধন করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। অনাদায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এর আগে ৬ অক্টোবর দেয়া রায়ে আপিল বিভাগ বলেন, ‘আপিলগুলো খারিজ করে হাইকোর্টের দেয়া সাজা সংশোধন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো। যেখানে যাবজ্জীবন মানে যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিন।’
এই মামলায় সর্বোচ্চ আদালতে আসামি আলমগীরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তসলিম উদ্দিন মন্টু ও আজমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
মামলার বিবরণ থেকে যানা যায়, ২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রামের জামাল খান রোডে অধ্যক্ষ মুহুরীর বাসায় ঢুকে অস্ত্রধারী দুবৃর্ত্তরা তাকে হত্যা করে। তার স্ত্রী উমা মুহুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। (হাটহাজারী নিউজ) ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অপর চারজন বিচারিক আদালতের রায়ে খালাস পান।
[caption id="attachment_882" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন: নাছির ওরফে গিট্টু নাছির, আজম, আলমগীর কবির ওরফে বাইট্ট্যা আলমগীর ও তছলিমউদ্দিন মন্টু। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন: সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল, মো. শাহজাহান, মহিউদ্দিন ওরফে মহিন উদ্দিন (পলাতক) ও হাবিব খান (পলাতক)। আর মামলায় খালাসপ্রাপ্ত চারজন হলেন অধ্যাপক মো. ইদ্রিছ মিয়া চৌধুরী, অধ্যাপক মো. জহুরুল হক, অধ্যাপক তফাজ্জল আহম্মদ ও নাসির।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। অপরদিকে চারজনকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করে বাদীপক্ষ। পরবর্তীতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে ২০০৬ সালে হাইকোর্ট রায় দেন। হাইকোর্টেত ওই রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। আর যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামি সাইফুল ও শাহজাহান হাইকোর্টে খালাস পান। হাইকোর্টের রায়ে যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে তারা হলেন: আজম, আলমগীর কবির ওরফে বাইট্ট্যা আলমগীর ও তছলিমউদ্দিন মন্টু। তবে হাইকোর্টের রায়ের আগে ২০০৫ সালের মার্চে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গিট্টু নাছির র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন। এর আগে ২০০৪ সালের জুনে নিজের বাসায় সাইফুল সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
[caption id="attachment_310" align="alignnone" width="212"] বিজ্ঞাপন[/caption]
পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে বাইট্ট্যা আলমগীর ২০০৮ সালে আপিল বিভাগে আপিল করেন। আর তসলিম উদ্দিন মন্টু ও আজম সঙ্গে ২০০৬ সালে জেল আপিল করেন। এসব আপিলের শুনানি শেষে রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত।