হাটহাজারী নিউজ ডেস্কঃ
নতুন বছরের প্রথম রাতেই ভারতের মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় আহত হয়েছেন একাধিক দর্শনার্থী। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। খবর জিনিউজের।
শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দলবীর সিং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘নিহতদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আহতদের নারায়ণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং একজন জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা।’
তিনি আরও জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে মন্দিরে দর্শনার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফলে পদপিষ্ট হয়ে ১২ জন মারা যায়। ইতোমধ্যে ১৩ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে এমনিতেই প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি অতিরিক্ত ভিড় হয়। কাটরা থেকে হেঁটে পাহাড়ি পথে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার যেতে হয় বৈষ্ণোদেবীর দর্শন পাওয়ার জন্য। অনেকেই ওই পথ ঘোড়ার চড়ে যান। যদিও পাহাড়ি পথের প্রায় পুরোটাই রাস্তা করা হয়েছে। খাদের দিকে রেলিং এবং জাল দিয়ে ঘেরা।
তবে মন্দিরের ভেতরে পথ সঙ্কীর্ণ। সেখানে সাধারণ সময়েই ভিড় থাকে। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মন্দিরের ভেতরে বৈষ্ণোদেবীর মূর্তি যেখানে রয়েছে, সেই সঙ্কীর্ণ পথেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সেখানেই পদপিষ্ট হওয়ার ওই ঘটনা ঘটে।
এদিকে, এ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী টুইট করে লিখেছেন, ‘মাতা বৈষ্ণোদেবী ভবনে পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত।। শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতরা শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠুক।’
মর্মান্তিক ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের জন্য মোদি ১০ লাখ এবং আহতদের দুই লাখ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।(নিউজ সংগৃহীত)