নিজস্ব প্রতিবেদক:
র্যাব-৭ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং এবং মাইলের মাথা এলাকায় অবৈধভাবে মজুদকৃত ৬ হাজার লিটার ভোজ্য তৈল জব্দ করা হয়। পরে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
রবিবার (১৫ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চক্র ভোজ্য তৈল অবৈধভাবে মজুদ করে রেখে তৈল সংকট এবং দাম বৃদ্ধির গুজবসহ অসদুপায় অবলম্ভন করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং তৈলের দাম অনেক গুনে বাড়িয়ে দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর কয়েকেদিন ধরে অভিযোগ আসছিল যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন বাজার গুলোতে কতিপয় অসাধু মজুতদার ব্যবসায়ী দেশে চলামন তৈল নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ ও বিভিন্ন মহলের গুজবের সুযোগ নিয়ে পূর্বে ক্রয়কৃত তৈল অবৈধভাবে মজুদ করে রেখে সাধারন মানুষের কাছে বিশ্ব বাজারে তৈলের দাম বৃদ্ধি ও তৈল আমদানি বন্ধসহ বিভিন্ন মিথ্যা কথা ও গুজব ছড়িয়ে বেশী দামে তৈল বিক্রয় করছে।
[caption id="attachment_2711" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানাধীন সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার “মেসার্স আসআদ বানিজ্যালয়” এবং শহরের মাইলের মাথা এলাকার “মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স” নামক দুইটি দোকানে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী জনসাধারণকে ঠকানোর উদ্দেশ্যে পূর্বে ক্রয়কৃত তৈল অবৈধভাবে মজুদ করে রেখে বেশী দামে বিক্রয় করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১৫ মে ২০২২ খ্রি. তারিখ সকাল ০৯৫০ ঘটিকা হতে দুপুর ১৪০০ ঘটিকা পর্যন্ত উল্লেখিত স্থানে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক একটি বিশেষ যৌথ অভিযান পরিচালান করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান “মেসার্স আসআদ বানিজ্যালয়” এর একটি গুদামে অভৈধভাবে মজুদকৃত ৬,১২০ লিটার ভোজ্য তৈল উদ্ধারসহ প্রতিষ্ঠান’কে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং অপর একটি প্রতিষ্ঠান “মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স” এ মালিককে র্যাব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ তার দোকানের তৈল ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে জানতে চাইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক ৬,১২০ লিটার ভোজ্য তৈলের ক্রয় ভাউচার দেখালেও পরবর্তীদে তৈলের বিক্রয় এবং মজুদ সক্রান্ত ব্যাপারে কোনা প্রকার সদুত্তর দিতে না পারায় তাকেও ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ দুইটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ০৫ লক্ষ টাকা জরিমানা জরা হয়।