নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন। এতে ৩৭৭০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দুই পাতা প্রতীকের নুরুল আবছার।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টার পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। এরপর শুরু হয় গণনা।
এদিকে উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রজনীগন্ধ ফুল প্রতীকের নেজাম উদ্দীন তনি পেয়েছেন ৩৬০৮ ভোট এরপর চশমা প্রতীকের জহুরুল আলম পেয়েছেন ৩ হাজার ভোট।
জানা গেছে , এই উপনির্বাচনে ৩৯ হাজার ৮শত ৯৫ জন ভোটারদের জন্য ১০টি ভোট কেন্দ্রে ১০জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২০জন সহ:প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৯১টি বুথে ৯১ জন পোলিং কর্মকর্তা নির্বাচন পরিচালনা করছেন। এছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তি পুর্ণ নির্বাচন গ্রহনের জন্য ১প্লাটন বিজিবি, র্র্যাব, প্রতি কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ পাশাপাশি আনসার সদস্যরা নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেতৃত্বে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যাট হিসেবে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে ১৬নং খন্দকিয়ার ইউনুচ নগর ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র দখল নিতে নুরুল আফছার সরকার (দুই পাতা) ও মো. নেজাম উদ্দীন প্রকাশ তনির (রজনী গন্ধা) সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পরান্টু চাকমা বলেন, নুরুল আফছার সরকার (দুই পাতা) ও মো. নেজাম উদ্দীন তনির (রজনী গন্ধা) দুই প্রার্থীর মধ্যে ১৬২ ভোটে জয়ী হয়েছেন দুই পাতা প্রতীকের নুরুল আবছার।
হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের উপনির্বাচনে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, বেলা দুইটার দিকে প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পুলিশ যাওয়ার পর তারা সটকে পড়ে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।