নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হলদা নদী ও কর্ণফুলী নদী দূষণের উৎস সমুহ চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে নদীর বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন সহ অন্যান্যরা।
সোমবার (১ জুলাই) তারা হলদা নদীর বামিয়া খাল, কৃষ্ণখাল ,নোয়াখালী খাল, খন্দকিয়া খাল, ধুপপোল, গোলাপের দোকান, টেকবাজার, এবারকেয়ার, মদুনাঘাট অনন্যা আবাসিক, হালদা নদীর ঐতিহ্য বিভিন্ন শাখা প্রশাখা পরিদর্শন করেন।
এসময় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান, রাউজান উপজেলা ইউএনও অংগ্যজাই মারমা, হাটহাজারী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুক ময়েদুজ্জামান, শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আবদুল খালেক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নেয়াজ মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, এক সপ্তাহর ব্যবধানে হালদা নদীতে পাঁচটি মৃত মা মাছ ও একটি মৃত ডলফিন ভেসে উঠে। বিশেষজ্ঞরা এজন্য হালদা নদী দূষণ কে দায়ী করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে নদী দূষণের উৎস সমুহ চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে গত ২৩ জুন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর দপ্তর কর্তৃক পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে ২৩ জুন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পরিদর্শন প্রতিবেদন, হালদা ও কর্ণফুলী নদীর পানি দূষণের উৎসসমূহ চিহ্নিতকরণ ও মতামত অত্র কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়।
তদন্ত কমিটির শীর্ষস্থানে থাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের রিসার্চ অফিসার আশরাফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ বা তার পরের সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান সোমবার রাতে জানান, হালদা ও কর্ণফুলী দূষণের উৎস খুঁজে বের করতে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।