র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, ভূক্তভোগী ভিকটিম স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণী’র ছাত্রী ছিল। ভিকটিম স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে আসামী মোঃ আঃ করিম তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত। ভিকটিম করিমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় করিম ভিকটিমকে যেকোন সময় অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিত।
তিনি বলেন, গত ২৬ অক্টোবর ২০০৪ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বের হলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামী আঃ করিম এবং কয়েকজন সহযোগী ভিকটিমকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষক করিম ভিকটিমকে নির্জন জায়গায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা আবদুল জলিল বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-২৫(১০)০৪ ধারা-৭/৯(১)/৩০; ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩)। মামলা দায়েরের পর আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে আসামী মোঃ আঃ করিম আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আসামী মোঃ আঃ করিম এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত বিচার কার্যক্রম চলাকালে আসামী মোঃ আঃ করিম এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
র্যাব-৭ আরও জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, বর্ণিত মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী মোঃ আঃ করিম চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ৭ জুন র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আঃ করিম, পিতা- খাইরুল বশর, সাং-ধলই, থানা- হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।