নিজস্ব প্রতিবেদক:
টিকিট থাকার পরেও ট্রেনের কামরায় উঠার সময় অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত টাকা দাবি করার প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে আরএনবি কর্তৃক সেনাসদস্য ও সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনার সাথে জড়িত তিনজন আরএনবির সদস্যকে আটক করে র্যাব ৭।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের কে আটক করা হয়।
পতেঙ্গা র্যাব ৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এমএ ইউসুফ বলেন, গত ৮ আগস্ট সেনাসদস্য চট্টগ্রাম হতে মেইল ট্রেনে বি-বাড়ীয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাত অনুমান ১০টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হন। ট্রেনের টিকেট কেটে প্লাটফর্মে থাকা ঢাকা মেইল ট্রেনের তার নির্দিষ্ট বগিতে উঠতে যাবেন তখন রেলওয়ের নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত থাকা কয়েকজন আরএনবির সদস্য তাকে ট্রেনের সামনের ৩ টি বগির যেকোন একটিতে যেতে বলে এবং বলে এই বগিতে উঠতে হলে তাদেরকে ৩শ টাকা দিতে হবে এবং ৩শ টাকা না দিলে এখানে বসা যাবে না বলে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এই কথাবার্তার এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যকে আরএনবির সদস্যরা অন্যায় ও অযাচিতভাবে গালাগালি, মারধর, রাইফেল দিয়ে ধাক্কাসহ বাহিনীকে নিয়েও ব্যাপক গালমন্দ করেন।
এই সময় একটি অন-লাইন চ্যানেলের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আব্বাসউদ্দীন এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং উক্ত ঘটনাটি আব্বাসউদ্দীন তার মোবাইলে ধারন করে।
আব্বাসউদ্দিন উক্ত ভিডিওটি তার সম্পাদককে দেয়। ভিডিওটি দেওয়ার সাথে সাথে নজরুল ইসলাম ভিডিওটি তার চ্যানেলে আপলোড করে দেয়। আপলোড করার পরিপ্রেক্ষিতে সেটি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে সারা দেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক ভাইরাল হয় এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
এ প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গতকাল ২৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত তিনজন আরএনবির সদস্য ১। মোঃ মাইন হাছান রাকিব (২৩), পিতা-মোঃ গোলাম মোস্তফা, সাং-খর্দ্দঘোষ পাড়া, থানা-নারায়নগঞ্জ সদর, জেলা-নারায়নগঞ্জ, ২। রিটন চাকমা (২৪), পিতা-মনকুমার চাকমা, সাং-নাভাঙ্গা, থানা-কাউখালী, জেলা-রাঙ্গামাটি এবং ৩। মোঃ রবিউল ইসলাম (৩০), পিতা-মোঃ ইউসুফ হাওলাদার, সাং-রাজাখালী, থানা-দুমকি, জেলা-পটুয়াখালীদেরকে গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বর্ণিত সেনাসদস্যকে অন্যায় ও অযাচিতভাবে গালাগালি, মারধর, রাইফেল দিয়ে ধাক্কাসহ বাহিনীকে নিয়ে গালমন্দ করার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।