নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাগড়াছড়ি জেলার দিঘিনালা থানাধীন জামতলী এলাকায় শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ হাসান প্রকাশ মহসিন (৪০)’কে ১৪ মাস পরে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাত ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরীর বন্দর থানা এলাকা থেকে ঘাতক খুনীকে আটক করা হয়।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, নিহত ভিকটিম শহিদুল ইসলাম খাগড়াছড়ি জেলার দিঘিনালা থানাধীন জামতলী এলাকায় বসবাস করতেন। ২০২১ সালের দিকে শহিদুল আসামী মোঃ হাসান @মহসিন এর নিকট ৩,০০০ টাকা চাল বিক্রি করেন। কিন্তু অনেকদিন হয়ে যাওয়ার পরও মহসিন বর্ণিত টাকা বিভিন্ন তালবাহানা করে পরিশোধ করছিল না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হতো। গত বছর ৩ জানুয়ারি বিকাল ৩টার দিকে শহিদুল মহসিনের নিকট চাল বিক্রির টাকা চাইলে মহসিন টাকা দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে মহসিন এবং তার ভাই ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের নাকে ও মুখে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম শহিদুলের ভাই স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছর ৫ জানুয়ারি শহিদুল মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানায় ০২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- ০১, তাং-০৮ মার্চ ২০২২ইং, জিআর-১১/২২, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
বর্ণিত মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে উক্ত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোঃ হাসান @মহসিন (৪০) আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে খাগড়াছড়ি হতে পালিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ৩০ মার্চ রাত আনুমানিক ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ হাসান @মহসিন (৪০), পিতা-মৃত আঃ রাজ্জাক, সাং-মধ্য বোয়ালখালী, থানা-দীঘিনালা, জেলা-খাগড়াছড়ি‘কে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীর স্বীকার করে, সে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এবং এজাহারনামীয় প্রধান আসামী।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।