নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা যারা সাংবাদিকতা করছে, আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। আমি আশা করবো, যারা এখন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে আছে তারা দেশের গণমাধ্যমকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশকেও সমৃদ্ধ করবে।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে চবি সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিএনপির নেতাদের মাধ্যমে এফবিআই এজেন্ট ভাড়া করা হয়েছিল। সেই এফবিআই এজেন্টকে যুক্তরাষ্ট্রে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, এমনকি তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী ইসরায়েলের এজেন্টের সঙ্গে যে বৈঠক করেছে, সেই বৈঠকের ছবিসহ সংবাদ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
‘এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিএনপি ও জামায়াত লবিষ্ট নিয়োগ করেছিলো। বিএনপির অপকর্ম যখন বেরিয়ে এসেছে, তখন তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। প্রকৃতপক্ষে জনগণের ওপর বিএনপির কোনও আস্থা নেই বলেই তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। বিদেশে লবিষ্ট ফার্ম নিয়োগ এ ষড়যন্ত্রের অন্যতম হাতিয়ার’।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, র্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য যে ১২টি মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে, এর মধ্যে দু-একটি ছাড়া বাকিগুলো নামসর্বস্ব সংগঠন। এগুলোর নাম আমরা আগে কখনও শুনিনি। এ সংগঠনগুলো ইতিমধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। তাছাড়া গত ৮ নভেম্বর দেওয়া এ চিঠি আড়াই মাস পর কেন হঠাৎ মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসা হলো? অবশ্যই এর পিছনে একটি উদ্দেশ্য আছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনালকে দেখেছি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে বিবৃতি দিতে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচও যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করেছে। কিন্তু ইসরায়েলের বাহিনী যখন নির্বিচারে ফিলিস্তিনের মানুষকে হত্যা করেছে, তখন এ সংগঠনগুলো কোনও বিবৃতি দেয়নি। তাই তাদের এ আহ্বান খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।
নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যে আইন করা হচ্ছে সেটা জনপ্রত্যাশা পূরণ করবে না- টিআইবি’র এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন এবং গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একটা আইন করার কথা বলেছেন। সেই প্রেক্ষিতে সরকার একটি আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে, পুরো বিষয়টা হচ্ছে রাজনৈতিক। টিআইবি কাজ করে দুর্নীতি নিয়ে, এটির সাথে তো দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নাই। রাজনৈতিক ইস্যুতে বিবৃতি দিয়ে টিআইবি প্রমাণ করেছে, তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করে।
‘টিআইবি’র এই বিবৃতির সাথে বিএনপির বিবৃতির মিল আছে। এতে প্রমাণিত হয় টিআইবি রাজনৈতিক ক্রীড়নক হিসেবে অনেক সময় কাজ করে। রাজনৈতিক ইস্যুতে টিআইবির বিবৃতি দেখে আমি নিজেও আশ্চর্য হয়েছি’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ, চট্টগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মনওয়ার রিয়াদ মুন্নাসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।