নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত মঙ্গলবার রাত্রে ছাত্রলীগের দুই নেতার উপর হামলাকারী স্থানীয় দুর্বৃত্ত জালাল ও ইমনে আটক করে র্যাব-৭।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুর ২টার দিকে মিরেরহাট বাজারস্থ চন্দ্রপুর এলাকায় থেকে এ দুইজনকে আটক করা হয়।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, গত ৩১ মে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দূর্জয় এবং সাবেক নেতা রাশেদ হোসাইন মোটরসাইকেলযোগে হাটহাজারী থানাধীন ১১ নং ফতেহপুর ইউপিস্থ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মদনফকির মাজারের সামনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী রাস্তার স্পিড বেকারে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলের পাশে উৎ পেতে থাকা জালাল (৩০), ইমন(২৪) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫জনসহ আসামীগন লোহার রড, হকিস্টিক, ক্রিকেট ষ্টাম্প, লোহার চেইন, লাঠিসোঠা, দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদেরকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে গুরুতর আহত করে এবং প্রদীপকে লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি করে। এসময় তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
পরবর্তীতে প্রদীপ চক্রবর্তী দূর্জয় ও রাশেদ হোসাইনকে গুরুতর জখম অবস্থায় দ্রæত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা প্রধান করা হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম প্রদীপের ছোট ভাই বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় ৮ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নং-০১ তারিখ-০১/০৬/২০২২ ইং ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড।
ঘটনার পর হতে আসামীরা আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন চলে যায়। এই ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গুরুতে¦র সহিত বিষয়টি গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ৪নং- আসামী জালাল হাটহাজারী থানাধীন ফতেহপুর এলাকায় এবং ৬ নং আসামী ইমন হাটহাজারী থানাধীন মিরেরহাট বাজারস্থ চন্দ্রপুর এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ২ জুন ২টা পর্যন্ত র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকা সমূহে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ইমন(২৪),পিতা-মোঃ রফিক, সাং-বখতিয়ার ফকিরের বাড়ি, থানা-হাটহাজারী,জেলা-চট্টগ্রাম এবং জালাল উদ্দিন জোবায়ের (৩০),পিতা-মোঃ ফরিদ আহাম্মদ, সাং-বলিটিলা, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উল্লেখিত ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে। উল্লেখ্য, মামলার এজাহারে ০৮ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও স্থানীয় তদন্তে গ্রেফতারকৃত ০৪ নং আসামী জালাল উদ্দিন জোবায়ের (৩০), এবং গ্রেফতারকৃত ০৬ নং আসামী মোঃ ইমন(২৪) মূল খলনায়ক ছিল মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আসামীদ্বয়ের সিডিএমএস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ধৃত ৪নং আসামী জালাল উদ্দিন জোবায়ের (৩০) এর বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মাদক সংক্রান্ত ০২টি মামলা রয়েছে এবং ধৃত ০৬ নং আসামী মোঃ ইমন(২৪) এর বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মাদক এবং নারী ও শিশু নির্যতন সংক্রান্ত ০২টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।