নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
সোমবার (২৬ মে) বেলা ১১টায় চবি ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে
এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী।
অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন খ্যাতনামা শাস্ত্রীয় ও নজরুল সংগীত শিল্পী ড. প্রিয়াংকা গোপ।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে উপস্থিত সকলকে স্বাগত ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম দ্রোহের কবি; ভালোবাসার কবি; মানবতার কবি; আমাদের জাতীয় কবি। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য নজরুল লিখে গেছেন; গেয়ে গেছেন। বিশ্বব্যাপি দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও বৈষম্যের বিলোপ সাধনে এবং ধর্ম-বর্ণ ও ভাষার বৈচিত্র্য সমুন্নত রাখতে নজরুলের জীবন দর্শন এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। বহুমাত্রিক এ কবি কবিতা, গল্প, সাহিত্য, নাটক, সংগীত, প্রবন্ধ যেখানেই তিনি হাত দিয়েছেন সেখানেই পেয়েছেন সফলতা। দারিদ্র্য, সামাজিক বৈষম্য, শোষণ-বঞ্চনা, ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সবসময় সোচ্চার। বহুমাত্রিক এ প্রথিভাধর কবি সারাজীবন তিনি অশুভ, অকল্যাণ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং সত্য ও সুন্দরের পক্ষে সংগ্রাম করে গেছেন তাঁর লেখনীর মাধ্যমে।
উপাচার্য আরও বলেন, তারুণ্য, উদ্যম, প্রেম, প্রেরণা ও বিদ্রোহ শব্দগুলোর সাথে নজরুলের জীবন নিবিড়ভাবে জড়িত।
প্রসঙ্গক্রমে উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশে মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের পট পরিক্রমায় নজরুলের গান, কবিতা অসাধারণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। তাঁর বিদ্রোহী, প্রতিবাদী চেতনাসমৃদ্ধ গান, কবিতা মানুষকে উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত এবং আন্দোলিত করেছে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, কলেজ পরিদর্শক, হলসমূহের প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতি এবং ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পার্থ প্রতীম মহাজন ও নাজরাতুন তিভা।