হাটহাজারী নিউজ ডেস্ক:
গৃহকর্মীকে মুখে স্কচটেপ ও হাতে গ্লু লাগিয়ে বাথরুমে আটকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠান্ডা পানি দিয়ে নির্যাতনের ঘটনা অশ্রুসিক্ত চোখে বর্ণনা দিয়েছেন গৃহকর্মী তানিয়া বেগম।
[caption id="attachment_6044" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) আলাপকালে অমানবিক নির্যাতনের কথা বলেন গৃহকর্মী তানিয়া বেগম।
এ সময় তিনি বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী মিলে আমার চুল কেটে দিয়েছিল। রেজার দিয়ে ভ্রু কাটা হয়। প্রায়ই বাথরুমে আটকে দরজা বন্ধ সাওয়ার ছেড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরের ওপর ঠান্ডা পানি ছাড়া হত।’
তানিয়া আরও জানান, নানা অজুহাতে তার ওপর নেমে আসত বীভৎস নির্যাতন। গৃহকর্ত্রীর ছোট্ট সন্তান কান্না করলেও তানিয়াকে মারা হত। কখনও রাত জাগতে কষ্ট হলেও বেদম প্রহার করা হয়। রাত জাগতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় এজন্য একদিন জোর করে তাকে ইয়াবা বড়ি দেওয়া হয়। মারধরের পর ছবি তুলে রাখতেন গৃহকর্ত্রী। তার বাসায় কেউ আসলে বলত তানিয়া পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কল পেয়ে দুপুর সোয়া ২টার দিকে বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের ৮৪ নম্বর বাড়ির সাততলার ফ্ল্যাট থেকে তানিয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ। নির্যাতনের সময় চিৎকার-চেচামেচির আওয়াজ যখন আসছিল সেটি পাশের বাড়ির এক বাসিন্দার নজরে আসে। তখন তিনি ৯৯৯-এ কল করেন। এরপর বনানী থানা পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। তবে ঘটনার পরপরই নির্যাতনের বিভৎস আলামত পেয়েও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি। হাতের কাছে পেয়েও আসামিদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়নি। দেরিতে মামলা হওয়ায় আসামিরা পালানোর সুযোগ পেল। তবে পুলিশ শুরু থেকে দাবি করে, সমঝোতা হওয়ায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।
বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, ‘পুলিশের একজন এসআই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের খুঁজছি। বাসায় অভিযানও চালিয়েছি। পালিয়ে যাওয়ায় তাদের ধরা যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে। (সমকাল)