নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
গৃহকর্মীকে মুখে স্কচটেপ ও হাতে গ্লু লাগিয়ে বাথরুমে আটকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠান্ডা পানি দিয়ে নির্যাতন!

গৃহকর্মীকে মুখে স্কচটেপ ও হাতে গ্লু লাগিয়ে বাথরুমে আটকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠান্ডা পানি দিয়ে নির্যাতন!

হাটহাজারী নিউজ ডেস্ক:

গৃহকর্মীকে মুখে স্কচটেপ ও হাতে গ্লু লাগিয়ে বাথরুমে আটকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠান্ডা পানি দিয়ে নির্যাতনের ঘটনা অশ্রুসিক্ত চোখে বর্ণনা দিয়েছেন গৃহকর্মী তানিয়া বেগম।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) আলাপকালে অমানবিক নির্যাতনের কথা বলেন গৃহকর্মী তানিয়া বেগম।

এ সময় তিনি বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী মিলে আমার চুল কেটে দিয়েছিল। রেজার দিয়ে ভ্রু কাটা হয়। প্রায়ই বাথরুমে আটকে দরজা বন্ধ সাওয়ার ছেড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরের ওপর ঠান্ডা পানি ছাড়া হত।’

তানিয়া আরও জানান, নানা অজুহাতে তার ওপর নেমে আসত বীভৎস নির্যাতন। গৃহকর্ত্রীর ছোট্ট সন্তান কান্না করলেও তানিয়াকে মারা হত। কখনও রাত জাগতে কষ্ট হলেও বেদম প্রহার করা হয়। রাত জাগতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় এজন্য একদিন জোর করে তাকে ইয়াবা বড়ি দেওয়া হয়। মারধরের পর ছবি তুলে রাখতেন গৃহকর্ত্রী। তার বাসায় কেউ আসলে বলত তানিয়া পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে।

প্রসঙ্গত ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কল পেয়ে দুপুর সোয়া ২টার দিকে বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের ৮৪ নম্বর বাড়ির সাততলার ফ্ল্যাট থেকে তানিয়াকে উদ্ধার করে পুলিশ। নির্যাতনের সময় চিৎকার-চেচামেচির আওয়াজ যখন আসছিল সেটি পাশের বাড়ির এক বাসিন্দার নজরে আসে। তখন তিনি ৯৯৯-এ কল করেন। এরপর বনানী থানা পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। তবে ঘটনার পরপরই নির্যাতনের বিভৎস আলামত পেয়েও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি। হাতের কাছে পেয়েও আসামিদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়নি। দেরিতে মামলা হওয়ায় আসামিরা পালানোর সুযোগ পেল। তবে পুলিশ শুরু থেকে দাবি করে, সমঝোতা হওয়ায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।

বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, ‘পুলিশের একজন এসআই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের খুঁজছি। বাসায় অভিযানও চালিয়েছি। পালিয়ে যাওয়ায় তাদের ধরা যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে। (সমকাল)

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com