আদনান আবিরঃ
হাটহাজারীতে রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি, জিকির, ধর্মীয় আলোচনা, মিলাদ ও নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে বরাত পালন করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
[caption id="attachment_1395" align="alignnone" width="218"] বিজ্ঞাপন[/caption]
শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাতে হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা দেখা যায় প্রতিটি মসজিদই মুসল্লিতে পরিপূর্ণ। আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় এশার নামাজের পর থেকে মসজিদে ধর্মীয় আলোচনা, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, নফল নামাজ, তাহাজ্জুদ নামাজ, জিকিরে মশগুল ছিলেন।
শবেবরাত একটি ফারসি শব্দ। যার কারণে এই শব্দের ব্যবহার আরবিতে কোথাও নেই। সিহাহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়টি হাদিসগ্রন্থের কোনো কোনো হাদিসে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে হাদিসগুলোর বিষয়ে মতভেদ বিদ্যমান। হাদিস শাস্ত্রে ‘শবে বরাত’ বলতে যে পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা হলো ‘নিসফ শাবান’ বা ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শা'বান’ তথা ‘শা'বান মাসের মধ্য রজনী’। একটি হাদীসে বলা হয়েছে — রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্মপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তার সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৬৬৪৬)।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের দায়িত্ব-কর্তব্যও ইসলামী জীবনচরিত সম্পর্কে আলোকপাত করেন প্রতিটি মসজিদে। শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে কায়মনোবাক্যে দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষমোনাজাত করা মধ্যে দিয়ে পবিত্র শবেবরাত পালন করা হয়।