নিজস্ব প্রতিবেদক: জানালার গ্রীল কেটে পেশাদার পিতা-পুত্রসহ কারখানায় ৫ জন চোর চক্র প্রবেশ। মোবাইলে সিসি ক্যামেরায় দেখে দারোয়ানদের কাছে মালিকের ফোন। দারোয়ানদের দেখে কোমর সমান পানির ট্যাংকে লুকিয়ে যায় চোর চক্র। রাতভর দারোয়ানদের পাহারায় পানির ট্যাংকে লুকিয়ে থাকা চোরদের ধরলো মডেল থানার পুলিশ বললেন ওসি মনিরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান।
আটককৃত চোররা হলেন, নুরুল আবছার (৫৪) ও মো.আফিফ(১৯) দুইজন পিতা-পুত্র, মো.সাদ্দাম (৩০), মো.আলমগীর (৪০), মো.সোহাগ হোসেন।
হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার আবদুল গোফরান ও এসআই সোহেল সমকাল কে বলেন, গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে মডেল থানাধীন দক্ষিণ পাহাড়তলীর সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডস্থ ধোপার দিঘীর পাড়ের পশ্চিমে অবস্থিত কর্ণফুলী প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা পেশাদার চোর।
তারা আরও বলেন, কর্ণফুলী প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রি" এর কারখানার উৎপাদন সেটের পূর্ব পাশে জানালার গ্রীল কেটে ৫ জন চোর প্রবেশ করে এমন চিত্র সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে মালিক দারোয়ান কে ফোন করে জানায়। এরপর দারোয়ান উঁকি মেরে চোর আছে দেখে অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ডেকে নেন। তারপর তারা কারখানার দরজা খুলে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিকভাবে একজন কে আটক করলে বাকী চোর চক্রের সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে ওই কারখানার ভেতরে কর্নারে স্ট্যান্ডে রাখা প্লাস্টিকের পানির ট্যাংকির ভেতরে ঢুকে লুকিয়ে থাকে।
খবর পেয়ে মডেল থানা এসআই সোহেল রানা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পানির টাংক থেকে বের করে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে প্রায় ১২২ ফুট বৈদ্যুতিক তার, ১০টি সার্কিট ব্রেকার, একটি হেকস ব্লেড, ১টি বৈদ্যুতিক টেস্টার, ১টি কালো ধারালো ব্লেড উদ্ধার করা হয়। পরে ওই কারখানার ম্যানেজার আরাফাত উদ্দীন বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৮০/৪১১ ও ৪৫৭ ধারায় হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ২০-২২, তারিখ-২১/০২/২০১৪ ইং। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় করা একাধিক মামলা রয়েছে যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে বলেও জানায় পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া মো. নুরুল আবছার সন্দ্বীপ উপজেলার ১৯নং আমান উল্লাহ ইউনিয়নের ১ ওয়াডস্থ আব্দুল আজিজ সুকানির বাড়ির মৃত ফখরুল ইসলামের পুত্র এবং মো. আবিদ মো. নুরুল আবছারের পুত্র।, তারা বর্তমানে নগরীর আকবর শাহ থানার সিটি গেইট কালিরঘাটে ওবায়দূরের ভাড়া বাসায় থাকতো।
অপনদিকে মো.সাদ্দাম সীতাকুণ্ড থানার ১০নং সলিমপুর ইউপির ৫ নং ওয়াডস্থ উত্তর সলিমপুরের কালুশাহ নগরের বশর উদ্দীন খলিফা বাড়ীর সেকান্দরের ও মো. আলমগীয় সীতাকুণ্ড থানার বড় কুমিরার উত্তর ঘোড়ামারার আবদুল জলিলের নতুন বাড়ীর জহুর আলমের এবং মোঃ সোহাগ হোসেন সন্দ্বীপ পৌরসভার ৭ নং ওয়াডস্থ হায়দারা অলী মুহুরীর বাড়ির মোশারফ হোসেন পুত্র।