নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জে ২০১৫ সালের চাঞ্চল্যকর ডাকাতির সময় হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় ওয়ারেন্ট ও চার্জশিটভুক্ত আসামী লাইলী’কে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) ভোরে তাকে আটক করা হয়।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২০১৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকায় ১০/১২ সদস্যের একটি ডাকাত দল একটি বাড়িতে ডাকাতি করে এবং স্বর্ণালঙ্কার ও বিপুল পরিমাণ টাকা লুট করে। এ সময় ডাকাত দল দেখতে পায় যে, ঐ বাড়িতে বাড়ির মালিক ছাড়া আর কোনো মানুষ নেই। এ সুযোগে ডাকাত দল বাড়ির মালিককে হত্যা করে লাশ লুকানোর চেষ্টা করে।
[caption id="attachment_883" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
এ ঘটনায় তখন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। উক্ত মামলায় কিশোরগঞ্জ থানা কয়েকজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং ১০ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে চার্জশীট জমা দেয়। যেখানে ‘‘লাইলী’’ অন্যতম আসামী ছিলেন।
[caption id="attachment_882" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
ঘটনার পরপরই এই কুখ্যাত ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য লাইলী নিজ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রামে এসে বসবাস শুরু করে। এমনকি সে গত ৭ বছর ধরে চট্টগ্রাম এলাকায়ই বসবাস করে আসছিল।
উল্লিখিত হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট ও চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামী চট্টগ্রাম এলাকায় লুকিয়ে আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে।
[caption id="attachment_1395" align="alignnone" width="218"] বিজ্ঞাপন[/caption]
নজরদারীর এক পর্যারে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত আসামী চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী লাইলী (২৫), স্বামী- নজরুল ইসলাম, সাং- বীর কামাটখালী, থানা-নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহ’কে আটক করে।
[caption id="attachment_2711" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী অকপটে স্বীকার করে যে, সে উক্ত কুখ্যাত ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য। এছাড়ও সে, উপরে উল্লেখিত ডাকাতি, হত্যাকান্ড ও হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং এই মামলায় কিশোগঞ্জ সদর থানার ওয়ারেন্ট ও চার্জশিটভুক্ত আসামী নিজ মূখে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।