হাটহাজারী নিউজ ডেস্কঃ
সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) নেতারা দাবি করেছেন,কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার সৈকত এলাকার হোটেল মিশুকের রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তারা এ দাবী করেন।
কক্সবাজার স্কোয়াব সভাপতি তোফায়েল আহমেদ’র সভাপতিত্বে" টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ-রোডে পর্যটক জাহাজ ও পর্যটক সীমিতকরণ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা ও ট্যুর অপারেটর এবং দ্বীপবাসীর স্বার্থ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা’ শীর্ষক এ সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজার স্কোয়াব নেতারা বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে এবং সাথে সাথে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পওবা স্তবায়ন হচ্ছে। অথচ এ অবস্থায় সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার সিদ্ধান্ত হতাশাজনক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কক্সবাজার পর্যটন শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি ঘোষিত সরকারের ১৩ দফা দাবির সাথে আমরাও একমত দীর্ঘ দুই দশক ধরে পর্যটন সেবার পাশাপাশি সেন্টমার্টিন সুরক্ষা ও উন্নয়নে কাজ করছি আমরা। নেতিবাচক প্রভাব থেকে দ্বীপ রক্ষায় পালন করা হয় বিভিন্ন কর্মসূচীও। প্রকৃতি ও পর্যটন দুটির সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত না নিয়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করা হলে ক্ষতির মুখে পড়বে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রতিদিন ১০টি জাহাজে সর্বোচ্চ ৩ হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিন যাতায়াত করবে। যাদের মধ্যে ১ হাজার ৪০০ পর্যটক হোটেলে অবস্থান করবেন। আর ১ হাজার ৬০০ পর্যটক ফিরে আসবেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যদি দুটি জাহাজ চলাচল করে তবে ১ হাজার ২৫০ জন পর্যটক যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। একই সাথে কয়েক হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তখন অনেক পর্যটক কাঠের নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এ অবস্থায় স্বল্প সংখ্যক পর্যটকদের নিয়ে ব্যবস্থাপনায় সংকটে পড়বে সেন্টমার্টিনের গড়া ওঠা ১৮৮টি আবাসিক হোটেল। ফলে যে উদ্দেশ্যে জাহাজ চলাচল সীমিত করা হচ্ছে তার সুফল আসবে না, বরং সর্বক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়বে।
দেশের পর্যটন স্পট সমূহের মধ্যে সেন্টমার্টিন অন্যতম। যাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁসহ অসংখ্য পর্যটন প্রতিষ্ঠান। প্রবালদ্বীপের আকর্ষণকে কেন্দ্র করে জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটসমূহেরও কদর বেড়েছে। যেখান থেকে সরকার পাচ্ছে কোটি টাকা রাজস্ব। কর্মসংস্থান হচ্ছে বেকার যুবক-যুবতিদের সমৃদ্ধির পথে ব্লু ইকোনমি।
এ সময় কেয়ারি’র ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী, সংগঠনের নেতা শফিউল আলম কাজল, রুমেল আহমেদসহ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।