হাটহাজারী নিউজ ডেস্ক:
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম খুরুশিয়া গ্রামে আলোচিত গরুর রশি চুরিকে কেন্দ্র করে ২ ভাই হত্যার প্রধান দুই আসামী মোরশেদ (২২)ও সাইফুল (৪০)কে আটক করে র্যাব ৭।
[caption id="attachment_6044" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ভোরে তাদের কে আটক করা হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম খুরুশিয়া গ্রামে গরুর রশি নিয়ে কথা কাটাকাটি জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুই ভাই খুন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
নিহত জালাল উদ্দীন (২৮) ও ছোট ভাই কামাল উদ্দিন (২৫) একই এলাকার জহির আহাম্মদের ছেলে।
এ ঘটনায় আহত প্রতিবেশী মো. ইদ্রিছ (৬৫) এবং তার তিন ছেলে মো. বাদশা (১৮), সালাউদ্দিন (২৬) এবং মো. রানা (১৭)।
এই ঘটনায় ঘাতক পিতা-পুত্রকে ধরে পুলিশে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয়রা। তারা হলো শফিকুল ইসলাম (৬২) এবং তার পুত্র খোরশেদ (২৮)। তবে এই ঘটনায় পলাতক রয়েছে শফিকুল ইসলামের অপর দুই ছেলে মোরশেদ (২৩) এবং সাইফুল ইসলাম (৩৫)।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরের দিকে নিহত জালাল তার গৃহপালিত পশুকে মাঠে ঘাস খেতে বেঁধে দিয়ে আসেন। কিছুক্ষণ পর গিয়ে দেখেন কেউ তার গরুর গলার দড়ি খুলে নিয়ে গেছে। খুঁজতে গিয়ে খুঁটিসহ দড়িটি শফিকুল ইসলামের হাতে দেখতে পান। এই নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হলে শফিকুলের মাথায় আঘাত লেগে ফেটে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
এর জেরে বিকালে শফিকুল ইসলামের তিন পুত্র খোরশেদ, মোরশেদ ও সাইফুল জালাল উদ্দিনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে তার ভাই কামালসহ প্রতিবেশী ইদ্রিছ ও তার তিন সন্তান এগিয়ে আসেন।
এসময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই ভাই জালাল ও কামাল। এছাড়া গুরুতর আহত হন প্রতিবেশী ইদ্রিছসহ তার তিন সন্তান।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ওবাইদুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বলেন, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক পিতা ও পুত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি পলাতক আরও দুই জনকে আটক করে র্যাব।