হাটহাজারী নিউজ ডেস্ক:
পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে যে ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালি জাতি, সেই জাদুকরি ভাষণের দিন ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ।
[caption id="attachment_1365" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই দিন অনন্য। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
[caption id="attachment_881" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা ও জাতীয়তা বোধ জাগরণের মহাকাব্য, বাঙালি তথা বিশ্বের সব লাঞ্ছিত-বঞ্চিত নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মুক্তির মন্ত্র। ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার চূড়ান্ত প্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণিক দলিল এবং বিশ্বে সর্বাধিকবার প্রচারিত ও শ্রবণকৃত ভাষণ।
[caption id="attachment_883" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
এদিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে বাঙালির মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব; এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয়বাংলা।’
[caption id="attachment_882" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সেই ভাষণ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতার সংগ্রামের মূলমন্ত্র হয়ে ওঠে। এ ভাষণ শুধু রাজনৈতিক দলিল নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের সম্ভাবনাও তৈরি করে।