নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শিশুকে আচার, চকলেট ও ১০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় পাষন্ড ধর্ষণকারী মোঃ ইউসুফ (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে র্যাব-৭।
[caption id="attachment_6044" align="alignnone" width="300"] বিজ্ঞাপন[/caption]
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ভোর রাত ৩টার দিকে ফেনী মডেল থানাধীন চট্টগ্রাম টু ঢাকাগামী মহাসড়কের রামপুরস্থ থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, ভুক্তভোগী ধর্ষীতা ৭ বয়সী শিশু ভিকটিম এবং মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেনীতে পড়–য়া একজন ছাত্রী। সে প্রতিদিনের ন্যায় গত ০৬ ডিসেম্বর মাদ্রাসায় যায় এবং ঐদিন দুপুরে মাদ্রাসা থেকে ফিরে বাড়ীর সামনে আসলে তখন তাদের আত্মীয়/প্রতিবেশী মোঃ ইউসুফ ভিকটিমকে মাদ্রাসার ব্যাগ বাসায় রেখে তার কাছে আসতে বলে। ইউসুফের কথামতো শিশু ভিকটিম বাসায় ব্যাপ রেখে তার কাছে আসে। তখন ইউসুফ তাকে আচার, চকলেট এবং টাকাসহ বিভিন্ন জিনিস দিবে বলে ফুসলিয়ে তার বাড়ীর পাশে শঙ্খ নদীর ধারে একটি ঝোপের ভিতর নিয়ে যায়, সে সময় শিশু ভিকটিম চিৎকার করলে ইউসুফ তার মুখ চেপে ধরে এবং বলে চিৎকার করলে একদম মেরে ফেলবো বলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ইউসুফ শিশু ভিকটিমকে আচার, চকলেট এবং ১০ টাকার একটি নোট হাতে দিয়ে বাড়ী চলে যেতে বলে। উল্লেখ্য যে, ধর্ষণকারী ইউসুফ শিশু ভিকটিমকে ধর্ষণপূর্বক বাড়ীতে যেতে বলে এবং এরুপ হুমকি প্রদান করে যে, সে যদি উক্ত ঘটনার কথা কাউকে বলে তাহলে ভিকটিমসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করবে।
পরবর্তীতে ভিকটিম বাড়ীতে আসলে তার শরীরে প্রচন্ড জ্বর ও অসুস্থতা দেখে তার মা তাকে হঠাৎ এমন অসুস্থ হওয়ার কথা জনতে চায়। তখন ভিকটিম তার মাকে উপরে উল্লেখিত ধর্ষণের কথা এবং তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জানায়। তখন ভিকটিমের মা তাকে দ্রæত দোহাজারী সরকারী সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শরীরিক অবস্থা খারাপ দেখে দ্রæত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমানে ধর্ষিতা শিশু ভিকটিম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সার্ভিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
৪উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে মোঃ ইউসুফ’কে আসামী করে গত ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০২০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯ (১) ধারায় একটি মামলা করে, যার মামলা নং-০৪, তারিখ ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রিঃ।
বর্ণিত মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ইউসুফকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল অদ্য ১২ ডিসেম্বর ২০২২খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ০৩০০ ঘটিকায় ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন চট্টগ্রাম টু ঢাকাগামী মহাসড়কের রামপুরস্থ র্যাব-৭, ক্যাম্পের বিপরীত পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় একমাত্র আসামী পাষন্ড ধর্ষণকারী মোঃ ইউসুফ (৪৭), পিতা- মৃত সোনা মিয়া, সাং- গণিপাড়া, থানা- সাতকানিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে উল্লিখিত নাবালিকা শিশু ভিকটিমিকে ধর্ষণের কথা অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।