নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের চকরিয়া থানাধীন বড় বেওলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা সন্ত্রাসীদের নিকট অস্ত্র সরবরাহকারী মূলহোতাসহ তিনজন অস্ত্র ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যাব-১৫।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের কে আটক করা হয়।
র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জানান, ইদানিং কক্সবাজার এলাকায় বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ত্রাসীদের নিকট থাকা অস্ত্রের উৎস উৎঘাটনের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ এপ্রিল র্যাব-১৫ কক্সবাজার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় অস্ত্র ব্যবসায়ী কক্সবাজার মহেশখালী হতে সিএনজি অটোরিকশা যোগে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে অস্ত্র সরবরাহের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন সদর এর একটি আভিযানিক দল গত ৬ এপ্রিল সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন বড় বেওলা ইলিশিয়া লাল ব্রীজ সংলগ্ন বিএম অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশনের সামনে অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। তল্লাশীর একপর্যায়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা চেকপোষ্টের সামনে পৌঁছলে র্যাব সদস্যরা থামার সংকেত দেয়ার সাথে সাথে কতিপয় অস্ত্র ব্যবসায়ী র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে চালকসহ তিনজনকে র্যাব-১৫ কক্সবাজার এর আভিযানিক দল আটক করতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তিদের নাম *১। মোক্তার আহমদ (৫২), ২। আব্দুর রহিম (৪০), ৩। মোঃ এনামুল হক (৩৮)* বলে জানা যায়। এ সময় তাদের অস্ত্র সরবরাহে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটি তল্লাশী করে চালক ও যাত্রীর আসনের নিচে বিশেষ ভাবে রক্ষিত অবস্থা হতে *তিনটি একনলা বন্দুক, একটি দু’নলা বন্দুকসহ ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র বিক্রয়ের নগদ ১,০৫,৭০০/- (এক লক্ষ পাঁচ হাজার সাতশত) টাকা, ব্ল্যাংক চেক , এটিএম কার্ড, এনআইডি কার্ড ইত্যাদি* উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের বিষয়ে আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার মহেশখালী ও চকরিয়া থানা এলাকায় গোপনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যসহ বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারীদের নিকট নিয়মিত অস্ত্র বিক্রয় করে আসছে।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।