নিজস্ব প্রতিবেদক: রাত পেরোলেই ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ হওয়ায় সংঘাতের আশঙ্কা সচেতন মহলের!
মঙ্গলবার ২১ মে অনুষ্ঠিয় এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে গ্রহনের জন্য ৩ প্লাটুন বিজিবি, ১ প্লাটুন র্যাব, পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ,আনসার ভিডিপি সদস্য সহ সার্বক্ষনিক জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম নিয়োজিত থাকবে বলে জানা গেছে।
প্রশাসনিকভাবে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এ উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ১ জন করে ১৪ জন পৌরসভার ১ জন ও অতিরিক্ত ২ জন সহ মোট ১৭ জন ম্যাজিষ্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে হাটহাজারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন।
উপজেলার আওতাধীন ১৪টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মোট ভোটার ৩ লক্ষ, ৫৭ হাজার, ৪ শ ৪৮ জন। এর মধ্যে পূরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬শ ৪৩ জন, মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৮ শ ৫ জন। নির্বাচনে ১০৬ টি ভোট কেন্দ্রে ৯৭৩ টি বুথে প্রিসাইডিং অফিসার ১০৬ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৯৭৩ জন সহ ১৯৬৪ জন পুলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশন ও উপজেলা প্রশাসন হাটহাজারীতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন গ্রহন করার জন্য বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও ১০৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে উপজেলার গড়দুয়ারা, ফতেপুর, মেখল, মার্দাশা, মির্জাপুর, ধলই এবং ফরহাদাবাদের অনেক ভোট কেন্দ্রে গোলাযোগ সৃষ্টি করার জন্য ইতিমধ্যে বেশকিছু দুর্বৃত্ত জড়ো হয়েছে। কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ব্যালট পেপার ও ব্যালট বক্স ছিনতাই এবং কেন্দ্রে ঢুকে জোর পূর্বক ব্যালেটে সিল মারার পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস.এম রাশেদুল আলম ৫৭ টি ও ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান ৩২ টি, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রায় ৩৪ টি কেন্দ্রকে ঝু্ঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং অফিসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান সোমবার সন্ধ্যার দিকে জানান, ঝু্ঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে কিছু নেই । উৎসব মুখর এবং অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে প্রতিটি কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত পরিমানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য তাদের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। আর দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তৎপরতা ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন।