নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকান (কাপ্তাই সড়ক) চাঁন মিয়া ফকিরের বাড়ির সামনে থেকে মোঃ সফিউল ইসলাম রহিম (১১) কে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার পরও না পেয়ে অপহৃত শিশুকে খুন করে লাশ গুম করার দায়ে আটক দুই অপহরণকারী!
বুধবার (৩ মে) বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাষাণ্ড দুই অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশ।
উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, বাদির নিখোঁজ জিডির অনুসন্ধানকালে নগরীর হালিশহর থানাধীন পানির কল এলাকা থেকে মোঃ আজম খানকে আটক করেন।
ধৃত আজম খানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে এবং মোঃ মজিবদৌলা হৃদয়সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা গত ২৯ এপ্রিল বিকাল ৩টা ২০ মিনিটের সময় বাদির মেজ ছেলে মোঃ সফিউল ইসলাম রহিম (১১) বাদির উল্লিখিত স্থায়ী ঠিকানার বাড়ি হতে বের হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকান (কাপ্তাই সড়ক) চাঁন মিয়া ফকিরের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর পৌঁছালে বর্ণিত ০১নং বিবাদি মোঃ আজম খান ও ০২ নং বিবাদি মোঃ মজিবদৌলা প্রঃ হৃদয়সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের সহযোগিতায় তাকে পটকাবাজি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে ঘটনাস্থল চান্দগাঁও থানাধীন পশ্চিম মোহরা গোলাপের দোকানস্থ তৌসিফের নির্মাণাধীন সেমিপাকা কলোনির পূর্বপাশের শেষ রুমে নিয়ে আটকে রাখে এবং মুক্তিপণ বাবদ নগদ ৫০,০০০/- টাকার জন্য বাদিকে চাপ দিতে থাকে।
বাদি তাদের কথায় রাজি না হলে ০১নং বিবাদি মোঃ আজম খান ক্ষিপ্ত হয়ে একই তারিখে ০২নং বিবাদি মোঃ মজিবদৌলা প্রঃ হৃদয়সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিকল্পনা ও প্ররোচনায় তার হাতে থাকা কাঠের শক্ত বাটাম দ্বারা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ও মুখে উউপর্যুপরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এবং পরবর্তীতে লাশ গুম করার উদ্দেশ্য উল্লিখিত রুমের ওয়াশরুম নির্মাণের স্থানে ইঁট, বালি দিয়ে পুঁতে রাখে।
ধৃত ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি, দেখানো ও শনাক্ত মতে ঘটনাস্থল হতে ভিকটিমের মৃতদেহ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত ০১ টি কাঠের বাটাম উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।