নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা “প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, এর সাথে যোগ হয়েছে তীব্র পানি সংকট” এর বাস্তবধর্মী একটি স্ট্যাটাস লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরলাম:
দেরীতে হলেও আমরা অনুধাবন করতে শুরু করেছি এর জন্য হয়তো আমরা নিজেরাই দায়ী। নির্বিচারে বন উজাড়, পাহাড় কাটা, প্রাকৃতিক পানির উৎস ধ্বংস করা, খালে ও ঝিরিতে যত্রতত্র বাঁধ দেয়া, তামাক চাষে অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার – মোটাদাগে দায়টা হয়তো নিজেদের কাঁধেই নিচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনারাই লিখছেন, এই তীব্র দাবদাহের জন্য আমরাই দায়ী!
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আর কয়েকদিনের মধ্যে এই তীব্র উত্তাপ থেকে পরিত্রাণ হয়তো পাওয়া যাবে। এরপর কী আমাদের মধ্যে কয়েকদিনের জন্য জেগে ওঠা বোধটা থাকবে? এইটাই আসলে প্রশ্ন!
বন উজাড়, পাহাড় কাটা, ঝিরিতে বাঁধ দেয়াসহ যে সকল মানবসৃষ্ট কারণে প্রকৃতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে সে সবের বিরূদ্ধে প্রশাসন সব সময়ই অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু জনতার জাগরণ না হলে কেবল অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসনের পক্ষে পরিবেশ বাঁচানো প্রায় অসম্ভব।
আসুন আমরা নিজেদের স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে প্রাণ-প্রকৃতিকে রক্ষা করি। সবাই যার যার অবস্থান থেকে প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসি, গড়ে তুলি সবুজ বেষ্টনী। গাছের গোড়ায় কুড়াল মারার সময় একবারের জন্য হলেও ভাবি, নিজের পায়ে কুড়াল মারছি না তো?