নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
চারদিকে কেবলই লোহা পেটানোর টুংটাং শব্দ

চারদিকে কেবলই লোহা পেটানোর টুংটাং শব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আর মাত্র ক’দিন বাকি কোরবানির ঈদের। এখন মহাব্যস্ত কামারপাড়া। যেন দম ফেলার সময় নেই।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারে দেখা মিলল আগুনে পুড়িয়ে পেটানো হচ্ছে দা, বঁটি, ডাসা, চাপাতি। কয়লার আগুনে লোহা গরম করে লাল টকটকে হলে হাতুড়ি পিটিয়ে পশু জবাই করার অস্ত্র তৈরি করতে ব্যস্ত কামারেরা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

চারদিকে কেবলই লোহা পেটানোর টুংটাং শব্দ। কেউ টানছে হাঁপর, কেউবা দিচ্ছে শান।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে হাটহাজারীর নাজিরহাট, নুর আলী মিয়ারহাট, জব্বারহাট, কাটিরহাট, মনিয়াপুকুর পাড়, সরকারহাট, চারিয়া, হাটহাজারী বাজার, ইছাপুর বাজার, মদনহাট, নন্দীর হাট, ফতেয়াবাদ, মদুনাঘাট, নজুমিয়ারহাট, চৌধুরী হাট, বড়দিঘী, আমান বাজারসহ কামারের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, আগুনে পোড়ানো লাল নরম লোহায় হাতুড়ি পিটিয়ে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে দা, বঁটি, ডাসা, চাপাতি, চাকু কুড়ালসহ কোরবানির প্রয়োজনীয় অস্ত্রপাতি তৈরি করছেন কামারেরা।

কোরবানির জন্য অস্ত্রপাতি বানিয়ে পসরা সাজিয়ে বিক্রির আশায় বসে আছেন অনেকে। ক্রেতা এসে দর কষাকষি করে পছন্দের দা, বঁটি, চাপাতি, চাকু, কুড়ালসহ যন্ত্রপাতি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে তাদের দা, চাকু, বঁটিসহ পুরাতন যন্ত্রপাতি মেরামত করে নিয়ে যাচ্ছেন। বছরের অন্য সময়ে দিনে দুই-তিনশ টাকা আয় হলেও এ সময়ে প্রতিদিন আয় হচ্ছে কয়েক হাজার টাকা।

কামাররা জানান, এবার মানভেদে নতুন চাপাতি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, ছোট ছুরি ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কুড়াল ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, চাকু ৭০০-১২০০ টাকা ও বঁটি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চৌধুরী হাটের কামাররা জানান, সারা বছর কাজ কম থাকলেও ঈদের আগে কাজের চাপ বেড়ে যায়। আর তাই রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তাদের। অনেক কষ্টের পরেও এ পেশাটি ধরে রেখেছেন। কারণ এটি তাদের পৈতৃক পেশা। কোরবানির সময়টাই আয়ের মৌসুম।

হাটহাজারী বাজারের কামাররা আক্ষেপ করে বলেন,  লোহার দাম বেড়েছে, সেই সঙ্গে কয়লার দাম বেড়েছে অনেক। এজন্য আয় আশানুরূপ হচ্ছে না। এছাড়া করোনা ও বন্যা তো আছেই। এসব কারণেও কাজের চাহিদা অনেক কমেছে।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com