নিজস্ব প্রতিবেদক: হাটহাজারী উপজেলার চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ফকিরপাড়ার মৃত হাজী শফির বাড়ির আয়মান ভবনের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলামের ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দৈনিক হাটহাজারী নিউজ কে নিশ্চিত করেন ব্যবসায়ীর ছোট ভাই জাহেদ।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার মধ্যে রাত ৩টার দিকে আমাদের বিল্ডিংয়ের পেছনে জানালার গ্রীল কেটে প্রবেশ করে প্রথমে আমার বড় ভাবীকে অস্ত্র ও কিরিচের ভয় দেখিয়ে হাত বেঁধে ফেলে। তারপর ওনার বড় ছেলেকে হাত ও পা বেঁধে আলমারি খুলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা, ৮টি স্মার্ট ঘড়ি যার মূল্য প্রায় ৪৫ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যার মধ্যে গলার সেট, কানের দূল, আংটি ও নেকলেস ছিলো।
তিনি আরও বলেন, মাস্ক পরা ৫/৬ জন যুবক ঘরে প্রবেশ করে তাদের বয়স ৩০/৩৫ বছর হবে। তবে তাদের কথায় যা বুঝতে পারলাম সবার বাড়ি চট্টগ্রামের বাইরে। তারা আমাদের ঘরে ৩টার দিকে প্রবেশ করে প্রায় ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ছিলো। তাঁরা ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে আমি হাটহাজারী মডেল থানায় ফোন করলে থানার এএসআই জাকির আমাদের ঘরে এসে সব কিছু দেখেন।
ব্যবসায়ীর স্ত্রী কুমকুম সিদ্দিকী বলেন, ডাকাতরা জানালার গ্রীল কেটে প্রথমেই আমার রুমে আসেন এবং একটি অস্ত্র ও ছুরি ধরে চিৎকার করতে নিষেধ করেন। তারপর আমার বড় ছেলের হাত ও পা বেঁধে ফেলে আমার আলমারি থেকে ১৫ হাজার টাকা ও ৬টি স্মার্ট ঘড়ি নিয়ে নেন। এরপর আমার দেবর জাহেদ থাকেন উপরে দ্বিতীয় তলায়। সেখানে তারা গ্রীলের দরজা বন্ধ করে ঘুমায়। ডাকাতরা আমার কাছে জানতে চাইলেন কিভাবে দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করতে পারি এবং কিভাবে ডাকলে আপনার দেবর গ্রীল খুলবেন সেইভাবেই ডাকতে বলেন। আমিও ঠিক সেইভাবে ডাকলাম এবং দেবর তার রুমের দরজা খোলে দেয়। তখনই ডাকাতরা রুমে গিয়ে দেবরের হাত বেঁধে ফেলে। এরপর তার রুম থেকে দুইটি স্মাট ঘড়ি, ২০/২৫ হাজার টাকা ছিলো তা নিয়ে নেন। এরপর তারা আমার দেবর এর ছোট ছেলের ঠান্ডা লাগলে তাকে কম্বল গায়ে দিয়ে দেয়। আমার শাশুড়ীর পানির পিপাসা লাগলে তাকে পানিও খাওয়ায় দেন।
হাটহাজারী মডেল থানার এএসআই জাকির আজ শনিবার বিকাল ৪টার দিকে দৈনিক হাটহাজারী নিউজ কে জানান, বাড়ির মালিক জাহেদ ভাই আমাকে ফোন করার সাথে সাথে আমি ও ওসি তদন্ত নুরুল আলম স্যার এসে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। সব কিছু দেখেছি এবং ওসি স্যার কে এ বিষয়ে জানিয়েছি।