নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেনী মডেল থানাধীন লালপুল এলাকায় একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে কাভার্ডভ্যানকে থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারসহ তিনজন চোরাকারবারীকে আটক করে র্যাব ৭।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় চোরাকারবারী সীমান্তবর্তী দেশ ভারত থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের চোরাইকৃত ভারতীয় কাপড় একটি কাভার্ডভ্যান যোগে বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া হতে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার দিকে নিয়া যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৭টা ৩০ মিনিটের র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন লালপুল এলাকায় একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় একটি কাভার্ডভ্যানকে থামানোর সংকেত দিলে উক্ত গাড়ীটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা উক্ত গাড়ীটিসহ আসামী ১। মোঃ মোজাম্মেল হোসেন (৩০), পিতা- আঃ মালেক, সাং- পূর্ব ছাগলনাইয়া, ২। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৩৫), পিতা- আবুল বাশার, সাং- পূর্ব মধুগ্রাম, উভয় থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনী এবং ৩। শাহ আলম পাটোয়ারী (২৭), পিতা- মৃত মোহাম্মদ উল্লাহ পাটোয়ারী, সাং- বড়ডলু, থানা- মানিকছড়ি, জেলা- খাগড়াছড়িকে আটক করে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের দেখানো ও সনাক্তমতে তাদের দখলে থাকা উক্ত কাভার্ডভ্যানের মালামাল বহন করার জায়গায় ২৫ টি চটের বস্তার ভিতর মোট চোরাইকৃত ১,৭৮৫ পিস ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয় এবং চোরাই মালামাল বহনে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে সীমান্তবর্তী দেশ ভারত হইতে অবৈধ উপায়ে চোরাইকৃত ভারতীয় শাড়ি সংগ্রহ পূর্বক ঢাকা, চট্টগ্রাম জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত চোরাই কাপড়ের আনুমানিক মূল্য ৪৪ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।