অন্যন্য প্রবীণ আলেমদ্বীন শাইখুল হাদিস আল্লামা শেখ আহম্মদ!

নিজস্ব প্রতিবেদক:

উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ ক্বওমী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস ও লক্ষ লক্ষ ছাত্রের ওস্তাদ আল্লামা শেখ আহম্মদ।

বিজ্ঞাপন

জন্ম ও পরিচয়:

হাটহাজারী থানার অন্তর্গত বতর্মান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মীরের খীল গ্রামে সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত পরিবারে কেরামত আলী ও রবিজা খাতুনের ঘরে ৫ সন্তানের মধ্যে পরিবারের চতুর্থ সন্তান প্রবীণ আলেমদ্বীন শাইখুল হাদিস আল্লামা শেখ আহম্মদ!

তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন আমলের ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষা জীবন:

মাত্র ৬ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালে তৎকালীন মুহতামিম আল্লামা আবদুল ওহাব (রা:) তত্ত্বাবধানে হাটহাজারী মাদ্রাসা মক্তবে ভর্তি হন আল্লামা শেখ আহম্মদ।

১৯৭২ সালে দারুল উলুম মইনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সাথে দাওরায়ে হাদিস (বর্তমান মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করেন) তিনি।

কর্মজীবন:
১৯৭৩ সালে ১লা জানুয়ারী তৎকালীন মহাপরিচালক আল্লামা আব্দুল ওহাব (রাঃ) আল্লামা শেখ আহম্মদ সাহেব কে হাটহাজারী দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ করেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ টানা ৩৩ বছর হাটহাজারী দারুল মইনুল ইসলাম মাদ্রাসায় সিনিয়র মহাদ্দিস ও মাদ্রাসার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

হঠাৎ ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তগত নানুপুর ওবায়দিয়া মাদ্রাসার শাইখুল হাদিস ইন্তেকালের কারণে জামিয়া ওবাদিয়ার শিক্ষা বিভাগের শূন্যস্থান পূরণের জন্য তৎকালিন মহাপরিচালক পিরে কামেল আল্লামা শাহ্ জমিরউদ্দীন (রাঃ)সাহেব এর অনুরোধে হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমেদ শফি সাহেব (রাঃ) নির্দেশনায় নানুপুর ওবাইদিয়ার শাইখুল হাদিস হিসেবে নিয়োজিত হন।

২০০৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা ১২ বছর নানুপুর ওবাইদিয়ার শায়খুল হাদিস হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের শুরুতেই শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমেদ শফি সাহেব(রাঃ) হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন।

বিজ্ঞাপন

শাইখুল আল্লামা শেখ আহম্মদ বলেন, আমি এখন নিঃস্ব একা হয়ে গেছি আমার সব ওস্তাদ ও অনেক বন্দুগন দুনিয়ায় থেকে চলে গেছে তাঁরা আজ জান্নাতের বাসিন্দা।

একে একে সকল ওস্তাদের কথা স্বরণ করে এই প্রবীণ আলেমদ্বীন বলেন, হযরত আল্লামা মুফতি ফয়েজ উল্লাহ (রঃ), আল্লামা আব্দুল ওহাব (রঃ), শাইখুল হাদিস আবদুল কাইয়ুম (রঃ), শাইখুল হাদিস আবদুল আজিজ (রঃ), সাবেক প্রধান মুফতি মাহমুদুল হক সাহেব(রঃ), আল্লামা মাহমুদুল হাছান বাবুনগরি (রঃ), সাবেক মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান পীর সাহেব(রঃ), হযরত মোহাম্মদ আলী (রঃ), হযরত নাদেরুজ্জামান (রঃ), হযরত নজির আহমদ (রঃ), হজরত সোলাইমান আরমার কাতেব সাহেব (রঃ), হযরত কাছেম ফতেপুরি (রঃ), হযরত আতিক সাহেব (রঃ), হযরত হাকিম ছিদ্দিক (রঃ), হযরত কাসেম সাহেব মেখলী(রঃ), হযরত ইব্রাহিম (রঃ), হযরত আবদুর রহিম (রঃ), হযরত কারী ইয়াহিয়া (রঃ), হযরত খালেদ সাহেব (রঃ), হযরত ওমর (রঃ), হযরত কারী আবদুল বারী (রঃ), সব শেষে শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহম্মদ শফি সাহেব (রঃ) স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং আবেগ আপ্লূত হয়ে বলেন বাকী হায়াতটা যেন ছাত্রদের কল্যাণে মাদ্রসার খেদমত করে ইমানের সাথে কাঠিয়ে দিতে পারি তার জন্য সকল শুভাকাঙ্ক্ষী – সহকর্মী – ছাত্র ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।